১০০টি ফুটবল মাঠের চেয়ে বড় যে ফ্যাকটরি!!! Gigafactory | Explained in Bangla by Enayet Chowdhury
যুক্তরাষ্টের রেনো, নেভাডা (Reno, Nevada) তে প্রায় ১২০০ হেক্টর জায়গার উপরে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে ইলোন মাস্ক (Elon Musk) এর গিগা ফ্যাক্টরি, যা পুরোপুরি বানানো অবস্থায় প্রায় ১০০ টি ফুটবল মাঠের থেকেও বেশি বড় হবে। কিংবা এর সাইজ যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল পার্কের থেকেও ৩ গুণ বেশি!
ফুটপ্রিন্ট (Footprint), মানে এটা মাটির উপরে কতটা জায়গা দখল করে। এই হিসাবে এইটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিল্ডিং। অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে উচু দালান বুর্জ খলিফা (Burj Khalifa) এর উচ্চতা থেকে গিগা ফ্যাক্টরির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ মিটার বেশি!

ইলন মাস্ক (Elon Musk) এটাকে বলেন, “The Machine That Builds The Machines.” এমনকি তিনি তার একটা ইন্টারভিউতে এটাও দাবি করেছিলেন যে এরকম একশটা গিগা ফ্যাক্টরি বানানো গেলে পুরা পৃথিবীকে নবায়নযোগ্য শক্তির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। যদিও এটার বিরুদ্ধে কথা আছে।
বাই দা ওয়ে, উনার সাথে পিকি ব্লাইন্ডার্স এর ক্যাপ পরা যে লোকটা দাড়ায় আছে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও (Leonardo DiCaprio), উনাকে টাইটানিকে রোজ (Rose) কাঠের উপর যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও পানিতে ফেলায় দিসিলো আর উনি অস্কার পাওয়ার পরে জাতির উদ্দেশ্যে তার মধ্যম আঙ্গুলি প্রদর্শন করেন!

যদিও এটা নাকি উনি ইচ্ছা করে করেন নাই।
সবমিলিয়ে, গিগা ফ্যাক্টরির ক্ষমতা আর দরকার কতটুকু, এগুলো পরিবেশ বান্ধব কিনা, পৃথিবীতে আর কারা কারা এরকম গিগা ফ্যাক্টরি তৈরি করতেছে, এই পুরো ব্যাপারটি আমি আজকে আলোচনা করবো। তো চলুন, শুরু করা যাক।
প্রথমে চলুন দেখি গিগা ফ্যাক্টরির ভিতরে টেসলা আসলে কী কী বানায়!
এগুলো হচ্ছে গিয়ে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। আপনারা টেসলা গাড়ির এই মিমগুলো কিন্তু অনেক দেখছেন! গাড়ি উল্টায়া পরে আছে আর ভিতরে দেখা যায় টেসলার পেন্সিল ব্যাটারি!

মূলত কিন্তু সেগুলোই, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি আমরা পেন্সিল ব্যাটারি হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ইউজও করছি। এবং মজার ব্যাপার এই ব্যাটারিগুলো দিয়ে গাড়িও চলে। যদিও মেকানিজম অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা।
এই ব্যাটারিগুলো বানানোর সাথে সাথে টেসলা মডেল থ্রি নামক একটা গাড়ি আছে ।

যেটা টেসলার বানানো সবচেয়ে সস্তা গাড়ি (মাত্র ৪২ হাজার ডলার প্রায়)। এই গাড়িগুলোর ইলেকট্রিক মোটরগুলো এই ফ্যাক্টরির ভিতরে বানানো হয়।
এটা ছাড়াও টেসলার পাওয়ার ওয়াল নামক একটা স্টোরেজ সিস্টেম আছে। যেমন, একটা আপনার বাসার মধ্যে বসায় দিয়ে যাবে, সেটায় সোলার প্যানেল দিয়ে সারাদিন বিদ্যুৎ আনতে পারবেন এবং জমা রাখতে পারবেন, আর আপনার বাসায় যদি কারেন্ট না থাকে তাহলে আপনি পুরা বাসার বিদ্যুৎ ঐটা দিয়ে চালাতে পারবেন। এটাও এই গিগা ফ্যাক্টরির ভিতর বানানো হয়।

দ্বিতীয় যে গিগা ফ্যাক্টরি আছে, ওরা মেইনলি ফটোভোলটিক সোলার প্যানেল বানায় যে সোলার প্যানেলগুলো আপনারা টেসলার ছাদে দেখেন।
তৃতীয় গিগা ফ্যাক্টরি যেটা করবে, টেসলার কিন্তু খুব সস্তা দুটো গাড়ি আছে যার একটার নাম তো বললামই (মডেল থ্রি)। আরেকটা হচ্ছে মডেল Y। ওরা চিন্তা করতেছে বৃহত্তর চায়নার মার্কেটের মধ্যে এই টেসলা গাড়িগুলো ব্যবহারযোগ্য করার জন্য এটার দাম তো আরো কমাইতে হবে। এবং ওই কারণে ব্যাটারি যদি USA তে বানিয়ে গাড়ি যদি চায়নাতে বানানো হয়, তাহলে সেটার দাম অনেক বেড়ে যায়। তাই চায়নার ভিতরেই কিভাবে ব্যাটারি Produce করা যায়, সেটা এই গিগা ফ্যাক্টরির অনেক বড় একটা উদ্দেশ্য। যেটা ইলন মাস্ক বারবারই বলতেছেন, “কাস্টমার যেই জায়গায় আছে, গাড়িটাও সেই জায়গাতেই বানাইতে হবে। নাহলে গাড়ির দাম অনেক বাড়বে।” যদিও টেসলা গাড়িগুলো বেশি কমদামে কিনলে মানুষের একটা অসুবিধা আছে, তখন মানুষকে টেসলা গাড়ি কিনতে গিয়ে অদ্ভুত মূলা ড্যান্স দিতে হইতে পারে! নাইলে হয়তো গাড়ির চাবি তাদের হাতে কখনই দেওয়া হবে না!
যাই হোক, প্রশ্ন আসতে পারে গিগা ফ্যাক্টরি আসলে কী অথবা গিগা ফ্যাক্টরি কাকে বলে! তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, গিগা ফ্যাক্টরি কাকে বলে?
সোজা কথায় বললে, যেসব ফ্যাক্টরিগুলোতে বিশাল পরিমাণে এনার্জি উৎপন্ন হয়, কয়েক হাজার গিগা ওয়াট এর মত এনার্জি এবং এখানে ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং হয়। এইটা যে প্রসেস এ তৈরি করা হয় সেটাকে বলা হয় END TO END PRODUCTION। সহজ কথায় বলতে গেলে, এটার কাঁচামাল থেকে শুরু করে একদম লাস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ ব্যাটারিটা বানানো পর্যন্ত পুরো কাজটা একটা ফ্যাক্টরির ভিতরেই যখন হবে, তখনই এটাকে গিগা ফ্যাক্টরি বলা যাবে।
আরেকটা কথা, গিগা দিয়ে বুঝায় হিউজ একটা ফ্যাক্টরি, অনেক বড় একটা ফ্যাক্টরি। এই টার্মটা প্রথম ২০১৩ সালে টেসলার CEO ইলন মাস্কই ব্যাবহার করছিলেন।
নেভাডা (Nevada is a state in the western region of the United States) তে টেসলার যে গিগা ফ্যাক্টরি টা আছে, ওইটাকে গিটা নেভাডা বলে। ওইটার এখন ক্যাপাসিটি 37 গিগা ওয়াট আওয়ার (37 GWh), আর এই ক্যাপাসিটিতেই ২০২০ সালে পুরা পৃথিবীতে এইটা সবচেয়ে বড় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ফ্যাক্টরি ছিলো।
জাস্ট মনে রাখেন, এটা তার মেইন ক্যাপাসিটির মাত্র ৩০%। ইলন মাস্ক এর মতে, এটা যখন পুরোপুরি ফাংশনাল হবে তখন এটা এখনকার পৃথিবীর যত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্রস্তুতকারীর ক্যাপাসিটিটা আছে, ওইটার থেকেও বেশি শক্তি জেনারেট করতে পারবে।
এখন আপনাদের প্রশ্ন হইতে পারে এই গিগা ফ্যাক্টরিগুলোর আসলে দরকার টা কি! কেন গিগা ফ্যাক্টরি দরকার?
দেখেন পৃথিবীর সব দেশ কিন্তু এখন জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে যেসব যানবাহন চলে, সেগুলোকে পরিত্যাগ করতেছে। সেই কারণে ইলেকট্রিসিটি দিয়ে চলে সেসব গাড়ির সংখ্যা কিন্তু ভবিষ্যতে অনেক বেশি পরিমাণে বাড়বে।
আপনারা রিসেন্ট যে জলবায়ু সম্মেলন COP 26, সেটাতে দেখবেন বেশিরভাগ দেশ এখন ইলেকট্রিক বা বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের দিকে কতটা জোর দিতেছে! এমনকি বাংলাদেশও এটার মধ্যে পরে। বলা হইতেছে ২০৪০ এর মধ্যে পুরা ইউরোপে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের জন্যে যে ব্যাটারির ডিমান্ড থাকবে, ঐটা ১২০০ GWh হবে প্রতি বছরে। এই চাহিদা মিটানোর জন্য প্রায় ৮০ টা গিগা ফ্যাক্টরি বানানো লাগবে। এগুলোকে Domestic বা যেই দেশে গাড়িটা উৎপাদিত হবে সেই দেশের ভিতরেই হইতে হবে যাতে সাপ্লাই চেইন এর মধ্যে কোনো রকম ঝামেলা যেনো তৈরি না হয়। সহজ কথায় ডিমান্ড অনেক বেশি হবে ব্যাটারির, এটা বানানোর জন্যে বিশাল পরিমাণ জায়গা লাগবে, গিগা ফ্যাক্টরি এটার সল্যুশন।
২০২০ সালে ৭৫% এর থেকেও বেশি ব্যাটারি সেল প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি ছিলো মূল ৭ টা কোম্পানির হাতে। এর মধ্যে Panasonic, CATL, Samsung, LG এর মত কোম্পানি আছে। এরা মূলত এশিয়া সেন্ট্রিক, যেমন CATL চায়নার, Samsung সাউথ কোরিয়ার, Panasonic জাপানের। তো আমেরিকান এবং ইউরোপিয়ান কনজিউমারদের চাহিদা মিটানোর জন্যেই এখানে বিশাল পরিমাণে এই ধরনের গিগা ফ্যাক্টরি বানাতে হবে।
এখন প্রশ্ন হইলো এই গিগা ফ্যাক্টরিগুলো এখন পর্যন্ত কারা কারা বানাইসে বা সামনে বানাবে! একটা তো হলো টেসলা, ওরা জাপানের প্যানাসনিক এর সাথে মিলে US, জার্মানি আর চায়নাতে গিগা ফ্যাক্টরি বানাইতেছে। প্যানাসনিক রিসেন্টলি ওদের শেয়ারগুলো বিক্রি করে দিতেছে, যদিও বিজনেস পার্টনার হিসেবে ওরা আছে। রিলায়েন্স ট্রাই করতেছে ইন্ডিয়াতে চারটা গিগা ফ্যাক্টরি বানানোর জন্যে। ইন্ডিয়ার মার্কেটে লোকাল ব্যাটারি প্রোডিউসার নাই এবং এই কারণে যখন এখানে টেসলার মত বিদ্যুৎচালিত গাড়িগুলো আসবে, তখন ব্যাটারি সাপ্লাই দেওয়ার জন্যে মানুষজন থাকবে না। রিলায়েন্স ওই মার্কেটটা দখল করতে চাইতেছে। জেনারেল মোটরস আছে, PSA গ্রুপ এবং একটা ফ্রেঞ্চ ব্যাটারি মেকার প্রতিষ্ঠান SAFT (Société des Accumulateurs Fixes et de Traction) যেটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ৭ টা ব্যাটারি প্রোডিউসারের একটা, ওরা ইউরোপে এরকম ২ টা গিগা ফ্যাক্টরি বানানোর প্ল্যান ঘোষণা করছে। ভক্সওয়াগেন পুরো ইউরোপের মধ্যে ৬ টা গিগা ফ্যাক্টরি বানানোর প্ল্যান করতেছে।
এখন আপনাদের সবারই মনে একটা প্রশ্ন হইতে পারে আমাদের কি গিগা ফ্যাক্টরির থেকেও বড় কোনো ফ্যাক্টরির দরকার হবে যেটাকে হয়তো আমরা টেরা ফ্যাক্টরি বলবো?
তো চলুন এবার এই বিষয়টা জেনে নেওয়া যাক, তো আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটা হলো, হইতেও পারে। যেমন ২০১৯ এ টেসলার যে গিগা ফ্যাক্টরি ওয়ান, ঐটা 37 GWh ইলেকট্রিসিটি প্রোডিউস করতে পারতেছে, অপারেশনাল ক্যাপাসিটিতে চলতে পারতেছে। যেখানে করা টার্গেট করতেছে ৬০/৭০ GWh পর্যন্ত পৌছাইতে। যেমন, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির মার্কেট ২০১৯ এ প্রায় ৬.২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন দাড়াইসে ১৮৭ GWh এর মার্কেটে। এখন এটাকে যদি আরো ৬.২ গুণ করা হয়, তাহলে দাড়ায় প্রায় ১১৫৯ GWh বা ১.১৬ TWh। তাই যদি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির চাহিদা এভাবে বাড়তে থাকে, আমাদের তাহলে হয়তো সামনে টেরা ফ্যাক্টরিও বানাইতে হইতে পারে যেটা গিগা ফ্যাক্টরির থেকে কয়েক গুণ বড় হবে।
এখন মূল যেই প্রশ্ন, এই গিগা ফ্যাক্টরিগুলো কি আসলে পরিবেশ বান্ধব? ওরা কি পরিবেশের কোনো ক্ষতি করতেছে?
প্রথম ব্যাপার, ১লা মার্চ ২০২০, ওরা যেই জায়গাটা দখল করে গিগা ফ্যাক্টরি ওয়ান বানাইসে, ওইখানে প্রচুর পরিমাণে গাছ কাটা পরছে।
এখন গাছ কাটা পরলে ওইখানে তো একটা ইকো সিস্টেম ছিলো, অনেক ধরনের প্রাণী ছিল, এদের তো নষ্ট হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। টেসলা যেটা করছে, ঐখান থেকে প্রাণীগুলোকে বাঁচাইসে প্রথমে এবং যত পরিমাণ গাছ কাটা হইসে তত পরিমাণ গাছ আবার লাগানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিসে।
দ্বিতীয় জিনিস, বলা হইতেছে এই প্ল্যান্টগুলোতে প্রায় ৩৭২ কিউবিক মিটার/আওয়ার পানি দরকার হবে।
যেটা একটা হিউজ পরিমাণ পানি। এবং বলা হইতেছে, আমাদের মতন পাবলিক যে পানিটা ইউজ করি, টেসলার এই গিগা ফ্যাক্টরি চালাতে যদি এতো বেশি পরিমাণ দিয়ে দিতে হয় তাহলে ডোমেস্টিক ইউজের জন্য পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এইটার ক্ষেত্রে টেসলা বলছে ওরা যে পানিটা ইউজ করবে এবং যখন পানিটা কাজ শেষে বের হয়ে যাবে তখন ওইটাকে ওরা পরিশোধন (Filter) করবে এবং এই পানিটাই আবার ইউজ করবে। এরকম ফ্যাসিলিটি অনেকগুলো ফ্যাক্টরিতেই আছে। এমনকি বাংলাদেশেও অনেক জায়গায় আমরা এমন দেখি। তাই যখন সমস্যা হবে, আমরা আশা করতেছি টেসলার পক্ষ থেকে ইকো ফ্রেন্ডলী কোনো সমাধান অবশ্যই আসা উচিত।
পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যে মেগা ফ্যাক্টরিগুলো আছে, এগুলোর মধ্যে এক নম্বরে হচ্ছে টেসলার এই গিগা ফ্যাক্টরি ওয়ান। তারপরের টা আবার চায়নাতে, যেটার LG করছে নানজিং প্রভিন্স এর মধ্যে। তিন নম্বরটাও চায়না তে, চার নম্বরটাও চায়নাতে, দুটোই করছে Contemporary Amperex Technology Co. Limited (CATL)। ওরা বেশ বিখ্যাত একটা কোম্পানি। পাঁচ নম্বরটাও LG করছে যেটা মূলত পোল্যান্ড এ।
তো মেইন বড় বড় পাঁচটার তিনটাই হলো চায়না তে। এ কারণে টেসলা কিন্তু এই মার্কেটে একসেস করতে চাইতেছে।
এই মুহূর্তে টেসলার যে গিগা ফ্যাক্টরিগুলো আছে, তার মধ্যে একটা তো হচ্ছে নেভাডাতে (Nevada), এটাই গিগা ফ্যাক্টরি ওয়ান, যেটা তুমুলভাবে চলতেছে এবং এটার অভিজ্ঞতাটাই টেসলা চাইতেছে অন্য গিগা ফ্যাক্টরিগুলোর মধ্যে এপ্লাই করতে। গিগা ফ্যাক্টরি টু আছে বাফেলো, নিউ ইয়র্কে। গিগা ফ্যাক্টরি থ্রি টা আবার চীনের সাংহাই তে। গিগা ফ্যাক্টরি ফোর হচ্ছে আন্ডার কনস্ট্রাকশন যেটা জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত। এটাকে গিগা বার্লিন (Giga Berlin) বলা হইতেছে। এটা খুবই কুল একটা গিগা ফ্যাক্টরি হবে! আরেকটা ওরা বলতেছে গিগা টেক্সাস (Giga Texas) নামে, যেটা টেক্সাস এ হবে। অস্টিন, টেক্সাসের কাছাকাছি একটা জায়গায় হবে। MVKHD প্রায় ২ বছর আগে ইলন মাস্কের সাথে টেসলার একটা ফ্যাক্টরির ভিতর ট্যুর দিসিলো। তো বলা যাইতেছে, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির যে বিশাল একটা ডিমান্ড দেখা দিবে সামনে, ওইটার জন্যে আমাদের বড় বড় ফ্যাক্টরি লাগবে যেটা গিগা ফ্যাক্টরির মত হবে অথবা গিগা ফ্যাক্টরি থেকে বড় টেরা ফ্যাক্টরির মতও হইতে পারে, যেই ফ্যাক্টরিগুলো একেকটা একশটা ফুটবল মাঠের থেকেও বেশি বড় আকার ধারণ করবে। এত বড় ফ্যাক্টরির মধ্যে আপনি ব্যাটারির কাঁচামাল থেকে শুরু করে আপনি একদম এন্ড প্রোডাক্ট (Battery) পর্যন্ত প্রডিউস করে ফেলতে পারবেন। এবং এটা আপনার ডোমেস্টিক বা আপনার দেশের ভিতরে যে ইলেকট্রিক চালিত যানবাহনগুলো থাকবে, সেটার চাহিদা মেটানোর জন্যে অনেক বেশি পরিমাণে গুরুত্বপূর্ন হবে।
মিম রিভিউ!!
kazishadidraiyan:
এরকম না করলে যদি ভিডিও দেখতেন, তাহলে তো কাজ হইতোই! আমাকে তো আর এরকম করা লাগতো না। দেখতে কিন্তু আমাকে কোনো সময় খারাপ লাগে না!
ITSnotADIL:
সাদমান যেটা দেখতেছিল সেটা হইতিসে Rick Astley – Never Gonna Give You Up (Official Music Video)
আমরা জানিনা যে সাদমান ওইটা কেনো দেখতেছিল But ও ওইটা দেখতেছিল!
sajeduli3:
এই ছবিটার মেইন এডিটটা কিন্তু অন্য আরেকজন করেছিল! এইযে নিচে সেইটা!
U/mohammad7fc:
এমন এডিট আমি আমার লাইফে খুব কমই দেখসি! কি এডিট রে ভাই, এই উপলক্ষে আমি আমার মাইক স্ট্যান্ড কে একবার কিস করবো! স্যালুট!
EmonTheCocklord:
নারী পুরুষ বৈষম্য!
তো আজকে এই পর্যন্তই, আমি আশা করতেছি গিগা ফ্যাক্টরি সম্পর্কে একটা Overall আইডিয়া আপনারা পেয়েছেন। আরো ডিটেইলে যাওয়া যাইতো যেখানে ম্যাথম্যাটিকাল জিনিস ঢুকে যায়। আমি ম্যাথ দেখাতে একটু ভয় পাই, তাই আর দেখাই নাই। কিন্তু এনার্জির ডিমান্ড কতটুক হবে সামনে এবং ঐটা মিটানোর জন্যে ইলেকট্রিসিটি প্রডিউস করতে আমাদের যে গ্রীন এভিলিউশনটা দরকার, এটা কতটুক সম্ভব সেটার একটা প্রাথমিক ধারণা আপনারা পেয়েছেন। আজকে এই পর্যন্তই, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এই সম্পর্কে পুরো ভিডিওটি দেখুন ইউটিউবে!
Research Affiliates:
Labid Rahat https://www.youtube.com/channel/UCTio…
Alif Arshad https://www.facebook.com/alif.arshad.b
For Gaining more knowledge on this topic:-
• Explained | What are Gigafactories, and RIL’s Big Plan to Build Four of Them
• Watch Out, Tesla: GM’s Building a Gigafactory of Its Own
• WE ARE OVER ELON MUSK’S 100 GIGAFACTORY TARGET FOR SUSTAINABLE ENERGY: DO WE NEED A TERAFACTORY?
• Survey of Global Activity to Phase Out Internal Combustion Engine Vehicles
• What are gigafactories and why do we need them?
• Lithium-ion battery market set for rapid growth in Europe
• WHO ARE THE BIG PLAYERS IN THE GIGAFACTORIES RACE?
• Can the world’s biggest factory ever be fully green?
• Is the Tesla Gigafactory a good model for Sustainability?
• Tesla’s Berlin Gigafactory will be biggest battery factory in world
• Inside Tesla’s 100% renewable design for the Gigafactory
• Tesla factory locations: Where they are and could soon be
• Ranking of the largest lithium-ion battery factories worldwide in 2020, by production capacity
Your Blog is very nice.
Wish to see much more like this. Thanks for sharing your information
Your Blog is very nice.
Wish to see much more like this. Thanks for sharing your information